অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করার নিয়ম দেখুন এখানে

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে শুরু করে প্রতিটি শিশুর ওজন অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ।  আজ আমরা শিখব কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করার নিয়ম দেখুন এখানে.

 জন্ম নিবন্ধন এর বিভিন্ন প্রকার  ভুল দেখা যায়, কারও নামের বানানে ভুল আছে কিংবা বাবা-মায়ের বানান ঠিক নেই। আবার জন্ম তারিখ, মাস বা সাল ভুল আছে ইত্যাদি হতে পারে। পরবর্তীতে এই ভুল সংশোধনের জন্য জন্ম নিবন্ধনের অনলাইনের মাধ্যমে সমাধান করা যায়।  জন্মদিনের কোন প্রকার পড়লেই বিচলিত না হয়ে, আপনারা সম্পূর্ণভাবে ঘরে বসেই আপনার সমাধান করতে পারবেন। 

 এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোথায় গিয়ে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করা যায়।  অনেকেই চিন্তায় ভেঙে পড়ে অনেকের তবে তাদের কোন চিন্তার কারন নাই।   আপনারা ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করতে পারবেন মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে।

আপনার আপনার বা আপনার আত্মীয়-স্বজন এবং আপনার সন্তানের জননীর কি ভুল হয়েছে তাকে নির্ধারণ করতে হবে। 

Contents

জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন করার নিয়ম দেখুন

আপনি যে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চান সে জন্য নিবন্ধটি অবশ্যই অনলাইন বৃদ্ধি করতে হবে,  ভুল সংশোধনের অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।  ভুল সংশোধনের পর প্রয়োজনীয় প্রিন্ট কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/কাউন্সিলর অফিসে জমা দিন।   মধ্যেই আপনার ভুল সংশোধন কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

ধাপ-১ঃ অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

 জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন এবং যেকোন তথ্য এবং ভুল সংশোধনের জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন https://bdris.gov.bd/br/correction।  আপনার পূর্বের জন্মনিবন্ধনের জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ফিলাপ করুন এবং অনুসন্ধানে ক্লিক করুন

ধাপ-২: জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান করুন

 অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে সে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি অবশ্য প্রবেশ করতে হবে জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর আরেকটি অন্যতম পার্সোনালিটি পিডিকশন নাম্বার। নম্বরটি অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদে থাকবে।  এটিকে স্বাধীনতা পরিচিতি নাম্বার হিসেবে বলা হয়

 আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার সময় যে জন্ম তারিখটি ব্যবহার করেছে অবশ্যই সেই তারিখটি হুবহু ব্যবহার করতে হবে,  অন্যথায় আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে যেকোন তথ্য আপনি দেখতে পারবেন না। জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ লেখার পর‘অনুসন্ধান’ বাটনটিতে ক্লিক করুন।

ধাপ-৩ঃ ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই

 জন্ম নিবন্ধন নাম এবং নাম্বার এবং  জন্মতারিখ দেওয়ার পর যে তথ্যগুলো আপনার সামনে শো করবে সেগুলো আপনারই কিনা তা তথ্য গুলো দেখে যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে যে এটা আপনারই সকল তথ্য যদি আপনি বুঝতে পারেন যেটা আপনার সকল তথ্য এবং নির্ভুল তথ্য তাহলে নির্বাচন অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী অপশনে যান ।

ধাপ-৪ঃ  আপনি কি নিশ্চিত

 আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে যে সকল তথ্য পাওয়া যাবে সেগুলো যদি আপনার হয় তাহলে আপনি কি নিশ্চিত এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।  আপনার তথ্যগুলো সঠিক হয়ে থাকে তাহলে কনফার্ম অপশনে ক্লিক করুন, আর যদি তথ্য বলতে হবে তাহলে বাতিল অপশনে ক্লিক করুন

ধাপ-৫ঃ জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় ঠিকানা

 জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় ঠিকানা অবশ্যই আপনাকে পরিপূর্ণ ফিলাপ করতে হবে,  পরবর্তী সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় থেকে সম্পন্ন করতে হবে তাই এই তথ্যগুলো ফিলাপ করতে হবে।  আপনি যদি জনগণের কার্যালয় সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে ‘কনফার্ম’ বাটনে ক্লিক করার পর এই পেজটি আসবে। 

ধাপ-৬ঃ তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন 

এই পেজটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই পেজের মাধ্যমে আপনাকে তথ্য বা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য যাবতীয় কার্যসম্পাদন করতে হবে এই পেজের মাধ্যমে আপনি যে ভুলগুলো হয়েছে তা সম্পাদন করতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ তথ্য সুন্দর ভাবে পড়তে হবে। 

 আপনারা যে তথ্যগুলো ভুল হয়েছে সেই তথ্যগুলো নিশ্চিতকরণ এবং ‘বিষয়’ নামক ড্রপ-ডাউন মেনুতে ক্লিক করুন। মেনুতে ক্লিক করলেই অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন। যেমন নামের বানান, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার কততম সন্তান, লিঙ্গ, পিতার নাম, মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি। সঠিক তথ্য দেওয়ার পর বাম পাশে ‘সংশোধনের কারণ’ ঘরটি চালু হয়ে যাবে। সেখানেও প্রথম ঘরের মতো একটি ড্রপ-ডাউন মেনু দেখতে পাবেন। মেনুতে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে আবার একটি কারণও থাকতে পারে। ‘ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল’ কারণটি দেওয়াই সবচেয়ে সহজ উপায়।

ধাপ-৭:  আরো ভাষা সংযোগ করুন

 আপনারা অনেকেই জানেন না যে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সর্বমোট হাটবার ভুল সংশোধন করা যায় এর বেশি হলে আপনি সমাধান করতে পারবেন না,  তাই সংশোধনের সময় অবশ্যই প্রথমবারের সম্পূর্ণ ভুল নির্ধারণ করে সম্পূর্ণ ভুল সমাধানের চেষ্টা করবেন

ধাপ-৮ঃ

 মানুষ মাত্রই ভুল হয় যদি ভুলবশত কোন তথ্য দিয়ে থাকেন সে সকল তথ্য অবশ্যই আপনি মুছে ফেলতে পারবেন আর ভুলক্রমে কোনো তথ্য সংশোধনের জন্য দিয়ে ফেললে বিষয়, চাহিত সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের কারণ এর পাশেই ‘Delete’ নামের একটি বাটন আছে। কোনো কারণে সংশোধিত তথ্যটি বাতিল করতে চাইলে ‘Delete’ বাটনে ক্লিক করলেই তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ধাপ-৯ঃ  জন্মস্থান এর ঠিকানা

 এখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে সেগুলো জন্মস্থান তথ্য যেমন এখানে দিতে হবে দেশ, বিভাগ, ডাকঘর, গ্রাম,  বাংলা-ইংরেজিতে । তথ্যগুলো হলোঃ 

  • দেশ
  • বিভাগ
  • বাসা ও সড়ক, নাম ও নম্বর (বাংলা ও ইংরেজিতে) 
  • ডাকঘর (বাংলা ও ইংরেজিতে) 
  • গ্রাম / পাড়া / মহল্লা (বাংলা ও ইংরেজিতে)

ধাপ-১০ঃ বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা

জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিক ভাবে দেওয়ার পর জন্ম সনদের সাথে মিল রেখে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার ঘরগুলিও পূরণ করতে হবে।  

ধাপ-১১ঃআবেদনকারীর তথ্য

উপরের সকল তথ্য দেওয়ার পর এবার আবেদনকারীর তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এই ধাপটিতে মোট ৪ ধরনের তথ্য দিতে হবে।

  • জন্ম সনদের অধিকারির সাথে আবেদনকারীর সম্পর্ক 
  • আবেদনকারীর নাম
  • আবেদনকারীর ঠিকানা 
  • ফোন নম্বর 
  • ইমেইল 

ধাপ-১২ঃ তথ্য সনাক্তকরণ ও সংযুক্তি আপলোড

 আপনি যে এই তথ্যগুলো সংশোধন করেছেন এগুলো কতটা সত্য তা পূর্ণতা যাচাই করতে হবেবর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা  আরে যাচাইয়ের জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু প্রমাণ সাপোর্ট করতে হবে যেমন পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ পিতা-মাতা জন্ম জন্ম নিবন্ধন সনদ ফটোগ্রফি মাতা-পিতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি মাতা-পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ইত্যাদি ।

সংশ্লিষ্ট তথ্য  প্রয়োজনীয় প্রমাণ 
পিতা-মাতার নাম বা অন্য কোনো তথ্য
  • পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ 
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
  • পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • পিতা-মাতার মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) 
নিজের নামের বানান অথবা জন্ম তারিখ
  • নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র
  • তার এসএসসি সার্টিফিকেট
  • তার পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • তার ইপিআই কার্ড
  • তিনি যেই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে জন্ম নিয়েছেন তার ছাড়পত্র
ঠিকানা পরিবর্তন (স্থায়ী) 
  • এলাকার কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়নপত্র
  • স্থায়ী ঠিকানার হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমাণ 
ঠিকানা পরিবর্তন (বর্তমান) 
  • বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিলের কপি

 

 সকল তথ্য সংশোধনের সময় অবস্থান করে আপলোড করতে হবে সার্ভারে। আপনার যে সকল তথ্য স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে । 

ধাপ-১৩ঃ ফি পরিশোধ 

জন্মনিবন্ধনের ফি পরিশোধের জন্য দুটি উপায়ে আসে এটি হলো পরিষদ কর্তৃক এবং পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ফি প্রদানের মাধ্যমে তার ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে ।প্রথমটি হলো ‘ফি আদায়’। এই উপায়ে আপনি জন্ম সংশোধন সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তোলার সময় ফি পরিশোধ করবেন।  সম্পূর্ণ তথ্য যাচাইয়ের জন্য আপনাকে ছাত্রলীগ করে পরবর্তী সময় যেতে হবে’।এবার সকল তথ্য ঠিক থাকা সাপেক্ষে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে দিন। 

ধাপ-১৪ঃ আবেদন কপি সংরক্ষণ

 সকল তথ্য সাবমিট করার পর আপনি যাবেন পতিতাকে করেছে তার প্রমাণস্বরূপ একটি ফাইল এবং পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে আপনার নিজের কাছে রেখে দিন’।‘ যে অফিসের মাধ্যমে আপনি আপনার দাবি করেছেন সেটি সময় দিবে সে সম্বন্ধে সংরক্ষণ করে নিজের কাছে রেখে দেবো কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। 

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন,  সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি আদায় করা হয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে ২০০-৩০০ টাকা লাগে। সরকারি ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা তবে আপনাকে কিছু বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে।

 সরকারিভাবে অনুসারে বিভিন্ন তথ্য নিম্নে দেওয়া হল

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি

সংশোধনের ধরণ দেশে বিদেশে
তথ্য সংশোধনের জন্য ফি ১০০ টাকা ২ ডলার
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ৫০ টাকা ১ ডলার
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ বিনা ফিসে বিনা ফিসে
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ ৫০ টাকা ১ ডলার

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি ২০২২

এখানে একটি বিষয় বলে রাখা দরকার যে, আপনারা অবশ্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন অফিসের নিয়ম সম্পর্কে অবগত আছেন।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

 এক নজরে দেখে নিন জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে’। অবশ্যই আপনাকে এই সকল কাগজপত্র জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সঙ্গে থাকতে হবে অন্যথায় আপনি জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করতে পারবেন’।

নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ

পাসপোর্টের কপি

পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র

টিকা কার্ড/ হাসপাতালের সনদ

স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র

স্থায়ী ঠিকানার হালনাগাদ কর পরিশোধের রসিদ

বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন বিদ্যুৎ/ ইউটিলিটি বিলের কপি

আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায় এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে এবং কিভাবে আপনারা জন্মনিয়ন্ত্রণ শোধন করতে পারেন তা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন’।  যদি আপনাদের সংশোধন করতে যেকোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাতে পারেন’। আমাদের সাথে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আরো নতুন নতুন তথ্য এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন’।